অফপেজ এসইও কে আমার প্রচারণা চালানোর সাথে তুলনা করতে পারি । যেমন আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে মিল আছে এমন সকল ওয়েবসাইটের কাছে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রচারণা করা । অর্থাৎ অফপেজে এসইও কে আমরা প্রচারণার একটা মাদ্ধম ও বলতে পারি। তবে চলুন অফপেজ এসইও সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা করা যাক । তার আগে গত পর্বে আমরা কি আলোচনা করেছি সে সম্পর্কে একটু জেনে নেই ।
গত পর্বে আমরা যা শিখেছি
অনপেজ এসইও এর প্রাথমিক ধারণা
অনপেজ এসইও কি / কাকে বলে?
অনপেজ এসইও মেট্রিক্স গুলো কি কি?
গত পর্ব সম্পর্কে যারা এখনো পড়েননি, তারা এই লিংক থেকে পড়তে অথবা ধারণা নিতে পারেন। অনপেজ এসইও এর প্রাথমিক ধারণা
অফপেজে এসইও কি / কাকে বলে?
উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে আমরা জেনেছি যে অফপেজে এসইও হলো ওয়েবসাইট এর প্রচারণা অথবা মার্কেটিং করার একটা কৌশল । তবে শুধু মাত্র কৌশল-ই নয়, অফপেজে এসইও হলো গুগল রাংকিং ফ্যাক্টর । যার সঠিক ব্যবহারের মাদ্ধমে আপনার অথবা আপনার ক্লাইন্ট এর সাইট ভালো রাংক পাবে। প্রকৃত পক্ষে আমার যারা এসইও নিয়ে কাজ করছি তাদের কাছে অফ পেজে এসইও হলো ব্যাকলিংক করা এবং রেফার সংগ্রহ করা । যার রেফার যত স্ট্রং হবে সে ততো ভালো রাংক পাবে । অফ পেজে এসইও বা ব্যাকলিংক এর মাদ্ধমে আপনার টার্গেট পেজে এবং কীওয়ার্ড সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনে কে নিশ্চিত করা যায় । এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে ব্যাকলিংক কি ? চলুন জানা যাক ।
ব্যাকলিংক কি?
ব্যাকলিংক হলো মার্কেটিং এর একটা অন্যতম উপায়, যার মাদ্ধমে ভালো রাংক ও পাওয়া যায়, ওয়েবসাইট ভিসিটরর ও পাওয়া ও যায় । অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে মিল রয়েছে এমন ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনার সাইট এর লিংক রেখে আসা কে ব্যাকলিংক বলে । ধরণ ভেদে ব্যাকলিংক এর মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যদি ও সবাই পরার্মশ দেয় যে শুধু মাত্র আপনার সাইট এর সাথে মিল রয়েছে এমন সকল সাইট থেকেই ব্যাকলিংক আনবেন, এই দিক থেকে আমার মোটা মোট কিছুটা ভিন্ন । আমি আগেই বলেছি যে ব্যাকলিংক বিভিন্ন রকম হতে পারে , হা, সে ক্ষেত্রে রিলেভেন্ট এর পাশা পাশি ইরেলেভেন্ট কিছু সাইট থেকে ও ব্যাকলিংক করতে পারবেন। যেমন, প্রোফাইল ব্যাকলিংক, লোকাল সাইটেশন, সোশ্যাল শেয়ার, ওয়েবসাইট লিস্টিং, এরকম আরো অনেক রয়েছে। ব্যাকলিংক করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।
এখন ব্যাকলিংক কি ভাবে কাজ করে, এবং ব্যাকলিংকিং এর ভালো উপায় কি সে সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করা যাক চলুন ।
ব্যাকলিংক কিভাবে কাজ করে
এসইও-তে ব্যাকলিংক গুগল এর রাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে । সে জন্য অবশ্যই ব্যাকলিংক করার আগে একটু ভেবে চিন্তে নির্দিষ্ট একটা প্লানিং অনুযায়ী করতে হবে। কি কি দিক খেয়াল রাখা দরকার? কীওয়ার্ড রেশিও, অর্থাৎ আপনার বাছাইকৃত কীওয়ার্ডটি কত % এঙ্কর হিসেবে ব্যবহার করবেন তার একটা পরিমাপ। শুধু লিংক রেখে আসবেন কতো %, ক্লিক হেয়ার, ভিসিট হেয়ার, ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন কত %, প্রতিদিন কতটা ব্যাকলিংক করতে পারবেন, ওয়েবসাইট এর কোন কোন পেজে এর জন্য ব্যাকলিংক করতে হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো খেয়াল করতে হবে । এছাড়া ও আরো অনেক গুলো বিষয় আছে যেগুলো পরবর্তী পর্বে উল্লেখ করা হবে।
ব্যাকলিংক কত ধরণের হতে পারে
ব্যাকলিংক বা লিঙ্কবিল্ডিং করার অনেক উপায় আছে যার সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব না। তবে সব এসইও এক্সপার্টরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাকলিংক ব্যবহার করে থাকে । কেউ ৫ ধরণের, কেউ ৩ ধরণের, কেউ বা ১০ ধরণের, কেউ বা ৭ ধরণের ব্যাকলিংক ব্যবহার করে থাকে। চলুন কয়েক ধরণের ব্যাকলিংক এর নাম জানা যাক যেমন, প্রোফাইল ব্যাকলিংক, লোকাল সাইটেশন, সোশ্যাল শেয়ার, ওয়েব ২.০, কমিউনিটি ব্লগিং, ফোরাম পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং, ওয়েবলিস্টিং, ক্লাসিফাইড এড পোস্টিং, ব্লগ আউটরীচ, ব্রোকেন লিঙ্কবিল্ডিং এবং আরো অনেক ।
আশাকরি অফপেজে এসইও এবং ব্যাকলিংক সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা হলে ও ধারণা দিতে পেরেছি । ব্যাকলিঙ্ক করার পূর্বে অবশ্যই উপরোক্ত আলোচ্য বিষয় গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিবেন । পরিপূর্ণ প্ল্যান নিয়ে এবং সতর্কতার সাথে সঠিক ভাবে ব্যাকলিংক করতে পারলে অবশই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব । এতে রাংক ও যেমন বাড়বে, ভিসিটর ও তেমনি বাড়বে ।